এবিএনএ : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় জড়িত ২০ বিদেশীকে শনাক্ত করেছে সিআইডি। এদের অধিকাংশই শ্রীলংকা ও ফিলিপাইনের নাগরিক। এর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তাও জড়িত রয়েছেন।
সোমবার মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা সিআইডির অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. শাহ আলম এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে এই চুরি সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সিআইডির অ্যাডিশনাল ডিআইজি জানান, এই চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের বড় একটি অংশের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের এই দায়িত্ব অবহেলা ফোজদারি অপরাধ কিনা, সেটা খুঁজে বের করতে আরও কিছু সময় লাগবে। মো. শাহ আলম জানান, ১০ দিনের তদন্ত শেষে সিআইডির দু’টি দল শ্রীলংকা ও ফিলিপাইন থেকে ফেরত এসেছে। সোমবার মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগে গ্রামীণ ফোনের এক কর্মকর্তাসহ ছয়জনকে গ্রেফতারের পর সিআইডি এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে। উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের মোট ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়। চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে ফিলিপাইনে যায় ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। ফিলিপাইন থেকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৫৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। আর বাকি দুই কোটি ডলার যায় শ্রীলংকায়। শ্রীলংকায় যাওয়া অর্থ বাংলাদেশকে ফেরত দেয়া হয়েছে।